উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশন একটি অতিপরিচিত সমস্যার নাম। আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিন্তু তারা নিজেরা সেটা জানেন না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোন লক্ষণ থাকে না। অন্য কোন রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে ধরা পড়ে এই উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপারটা। তাই একে নীরব ঘাতক বলা যায়। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অর্থাৎ ৯০-১৩০ এমএম এইচজি-এর চেয়ে বেশি থাকলেই উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে। তবে কেউ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিনা তা বলার আগে তিন দিন তিনটি ভিন্ন সময়ে রক্তচাপ মেপে দেখা উচিৎ।
রক্তচাপ বেশি বেড়ে গেলে কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন: মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা বা চোখে ব্যথা ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে রক্তচাপ বেশি বেড়ে গেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে অথবা জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে দেখা যায়। এই অবস্থাকে ম্যালিগনেন্ট হাইপারটেনশন বলা হয়। সেই ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের উচিৎ নিয়মিত রক্তচাপ মেপে নেওয়া। বয়স ৩৫-৪০ বছর থেকে নিয়মিত রক্তচাপ মেপে নেয়া ভালো। এছাড়া কারো পরিবারের বাবা-মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে তাহলে সন্তানদের উচিৎ সর্তক হওয়া। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই জরুরি।
যেমন: অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা, খাবারে অতিরিক্ত লবণ বাদ দেওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম-এর অভ্যাস গড়ে তোলা, অতিরিক্ত তেল-চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করা, ধূমপান ও মদ্যপানের মত অভ্যাসগুলো অবশ্যই বাদ দেওয়া ইত্যাদি। উচ্চরক্তচাপ ধরা পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ সেবন ও জীবন যাপন পদ্ধতি উন্নত করা উচিৎ। তাহলেই উচ্চ রক্তচাপের জন্য যে জটিলতাগুলো সৃষ্টি হয় তা এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে।