কেউ যখন ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান তখন ভালো দিকটাই দেখিয়ে থাকেন সবসময়। সম্পর্কে জড়ানোর পর কখনো নিজের খারাপ দিকটা দেখান না। এই সময়ে বিচার করবেন ভালোবাসার মানুষটি মিথ্যে বলছেন না তো! বিচার করার অবশ্যই প্রয়োজন। কেননা, বেশিরভাগ সময়ই তো ফোনে বা ম্যাসেঞ্জারে কথা হয়। প্রেমিকা আপনার সঙ্গে সত্য বলছে না মিথ্যা বলছে এটা জানা কিন্তু খুবই প্রয়োজন।
তাই জীবন সঙ্গীকে জানতে-বুঝতে সে সত্য বলছে কিনা জেনে নেওয়ার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক-
কোনোকিছু লুকানো: অনেকেই আছেন ভালোবাসার মানুষটির পাশে থেকেই অন্য কারও সঙ্গে চ্যাটিং বা ফোনে কথা বলেন। আবার তাদের বলেন যে বিষয়টি যেন কাউকে না বলেন। দু’জন দু’জনের সবকিছুতে নাক গলানোও ঠিক নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে সীমা থাকা বরং ভালো। কিন্তু সঙ্গী যদি এর বদলে আপনার কাছ থেকে অনেক সত্য গোপন করে বা লুকিয়ে রাখে সেটি ক্ষতিকর। এটি এক ধরনের সূক্ষ্ম প্রতারণা। এতে করে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আপনি যাকে ভালোবাসেন আর তার অপছন্দের কাজ করেন সেটা কি উচিত হবে আপনার। এতে অন্যজন আঘাত পান। যা কথা বলার, ম্যাসেজ করার ভালোবাসার মানুষটির সামনেই করুন।
চোখ নামিয়ে কথা বলা: সাধারণত মিথ্যে কথা বলার সময় আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব হয়। তাই সেই সময়টায় চোখে চোখ রাখা যায় না। আর এটা হলো মিথ্যের প্রথম লক্ষণ। তাই এ বার থেকে কথা বলার সময় প্রেমিকার চোখে চোখ রাখুন। কথা বলার সময় তিনি যদি চোখ নীচু করে নেন, তাহলে বুঝবেন ডালের মধ্যে সত্যিই কিছু কালো রয়েছে। তখন তাকে এই বিষয়টা নিয়ে অন্য কোনও প্রশ্ন করুন। তাহলেই দেখবেন পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণে।
গলার স্বর পরিবর্তন: অনেকের মিথ্যে বলার সময় গলার স্বর বদলে যায়। অর্থাৎ তারা তখন স্বাভাবিক স্বরে কথা বলতে পারেন না। আর এটাই হলো মিথ্যে চেনার অপর একটি সহজ উপায়। তাই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে বলতে প্রেমিকা যদি গলার স্বর বদলে ফেলেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে। তখন একবার তার কথাটা ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন।
কথা রক্ষা না করা: আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে আপনাকে জানানো হল সে আপনার সঙ্গে অংশ নিতে পারবে না। বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন। কখনো কখনো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও দেখান। একটা সময় জানতে পারলেন ঐ সময়টায় তার কোনো কাজই ছিল না। এমনটা দেখলে তার সঙ্গ এড়িয়ে চলুন।
সংক্ষেপে প্রশ্নের উত্তর দেয়া: সবাই সাজিয়ে গুছিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারে না। তাই তাঁরা বলার সময় কম কথা বলেন। হ্যাঁ বা না বলেই নিজেদের কাজ সেরে নিতে চান। তাই এরপর থেকে কোনো কঠিন প্রশ্ন করার পর প্রেমিকা যদি বিস্তারিত না বলেন, ছোট ছোট উত্তর দেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে।
উপরের বিষয়গুলো মিলে গেলেই যে কেউ মিথ্যা বলছে সেটা কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। যদি মনে হয় আপনার প্রেমিকা মিথ্যা বলছেন তাহলে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। তার মিথ্যা বলার কারণ কি জানতে চান। না জেনে আগে থেকেই আপনার ধারণা সঠিক এমন ভাববেন না।