সাভারে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী পৌর এলাকার থানা রোড, তালবাগ ও সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। এসময় কয়েকটি ক্লিনিককে জরিমানা ও একটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
অভিযানকালে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দেয়ার অভিযোগে দীপ ক্লিনিকের মালিক ডা. সিরাজুল ইসলামকে নগদ তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই অপরাধে এবং হাসপাতালের লাইন্সেস এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় সাভার সেন্ট্রাল হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসময় নগদ আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে হাসপাতালটির রোগীদের অন্যত্র রেফার্ড করার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ডিজি হেলথের অনুমতিহীন হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সাভার প্রাইম হাসপাতাল, প্রিন্স হাসপাতাল, সাভার কেয়ার হাসপাতালে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন।
র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, সাভারের অধিকাংশ হাসপাতালগুলো যেন কিল সেন্টারে পরিনত হয়েছে। এখানে রোগীদের সেবা দেয়ার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে অপারেশন করা ও নিয়ম না মেনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কারণে রোগীরা এসব হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
অভিযান চলাকালে র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপারিনটেনডেন্ট মো. ফখরুল ইসলাম, ওষুধ পরিদর্শক নাহিন আল আলম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।