প্রতিটি মানুষের চরিত্রের একটি অনুষঙ্গ হলো রাগ বা ক্রোধ। কারো ক্ষেত্রে সেটা দৃশ্যমান, কেউবা নিজের এই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। অতিরিক্ত রাগ সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, অন্যের কাছে নিজেকে অপ্রিয় করে তোলে। শুধু তাই নয়, রাগ বা ক্রোধে রয়েছে স্বাস্থ্যগত নানান খারাপ দিক।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অতিরিক্ত রাগ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। টানা দুই ঘণ্টা যদি কেউ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকেন, তাহলে তার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত রাগ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কেননা, এটি মস্তিষ্কের ওপর চাপ ফেলে। এতে মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ হয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, টানা দুই ঘণ্টা মন মেজাজ খারাপ থাকলে বা রেগে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয় শরীরে।
বৈজ্ঞানিকদের ধারণা, ক্রোধ মূলত একটি মানসিক রোগ। এই রোগের ফলে হজম শক্তির ব্যাঘাত ঘটে, শ্বাসক্রিয়া দ্রুত হয় ফলে ফুসফুসকে বেশি কাজ করতে হয়। যদি সেই পরিমাণ শক্তির জোগান না পাওয়া যায় তখনই রক্তচাপ বৃদ্ধি হয়ে নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাই রাগ বা ক্রোধের এই স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে কৌশলী হতে হবে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে মনোবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক।