• শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

বাজারে শসা-লেবু ও বেগুনের চড়া দাম

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩

সংবাদ সংযোগ রিপোর্ট : রমজান এলেই নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় বেগুন, শসা ও লেবুর দাম। চাহিদা বেশি থাকায় এগুলোর মূল্য বাড়ে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রমজানের শুরুর দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। একইসঙ্গে অতিরিক্ত দাম হাঁকানো হচ্ছে শসা ও লেবুতেও।

ঢাকার বিভিন্ন বাজরে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ছোলা ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এংকার ডাল কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৫০ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা। গত সপ্তাহের মতো এবারো স্থিতিশীল রয়েছে ছোলা ও বেসনের দাম।

তবে দাম বেড়েছে খেসারি ডালের দাম। গত সপ্তাহে খেসারি ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজিতে। বেসন বিক্রি হচ্ছে ডালভেদে ৯৫ কেজি ১২০ টাকা। বুটের ডালের বেসন ৯৫ টাকা ও মুগ ডালের বেসন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। আলুর দাম কেজিপ্রতি ২৫ টাকা, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা।

বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। শসা প্রতি কেজিতে দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা। শিমের কেজি ৪০-৫০ টাকা। আর করলার কেজি ১০০-১২০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৮০-৯০ টাকা।

আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ১০০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি। পাতা কপি ৩০-৪০ টাকা পিস। আর কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট ও পণ্য আমদানি বন্ধসহ নানা অজুহাতে রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক দফায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে বাড়তি দামের বোঝা বইতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় নিম্নআয়ের মানুষদের।

বাজার করতে আসা কথা হয় এক ক্রেতা সঙ্গে। তিনি বলেন, রমজানের প্রথম দিনেই সবজির দাম বেড়ে গেছে। ছোলা বুটের দাম না বাড়লেও কখন বেড়ে যাবে তার ঠিকঠিকানা নেই।তবে রমজানের প্রথম দিনেই বেগুনের দাম বেড়েছে। শসার দামও অতিরিক্ত চাওয়া হচ্ছে। এখন ইফতারিতে তো এসব লাগবেই, তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।

বাজারের বিক্রয়কর্মীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই সপ্তাহে কোনো পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি। ছোল-ডালের দাম আগের মতোই রয়েছে। আশা করা হচ্ছে দাম এমনই থাকবে।

তবে সবজি বিক্রেতা বলেন, চাহিদা বাড়তি থাকায় বেগুন, শসার দাম একটু বেশি। সাপ্লাই বেড়ে গেলে দামও কমে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ