চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা তিনটি দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ। তবে এখনো আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ওই সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ২০ জন পুলিশের ওপর হামলা করেছে এবং ৭ জন আইনজীবী আলিফ হত্যায় জড়িত।
নগর পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ১২ জন সদস্যও আহত হন। এ ছাড়া, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের ব্যবহৃত একটি গাড়িও।
জানা গেছে, নগরের কোতোয়ালী থানার আদালত প্রাঙ্গণ, রঙ্গম সিনেমা হল এবং কোতোয়ালী মোড়— এই তিন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। পৃথক তিন ঘটনায় পৃথকভাবে কোতোয়ালী থানা পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে।
এসব মামলায় আদালত প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬শ থেকে ৭শ জন, রঙ্গম সিনেমা হলের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনকে এজাহারনামীয় করে অজ্ঞাত ৩শ থেকে ৪শ জন এবং কোতোয়ালী মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আড়াইশ থেকে ৩শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিরা সবাই ইসকন সদস্য এবং চিন্ময় দাসের অনুসারী।