স্মরণকালের ভয়াবহ আগুনে ধ্বংসস্তুূপে পরিণত হয়েছে বঙ্গবাজার। পাশের এনক্সকো ভবনেও আগুন জ্বলছে। এরইমধ্যে ৫০ ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে।
|এদিকে উত্তেজিত জনতা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
উৎসুক জনতার হামলায় ফায়ার (মিডিয়া) রবিউল ইসলাম অন্তর (২৩) ও ফায়ার ফাইটার আতিকুর রহমান (২৪) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। এছাড়া বঙ্গবাজারের দোকান মালিক শাহিন ও নিলয় নামে দুজন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রহিমা খানম বলেন, আমাদের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আহত হচ্ছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য। কিন্তু কিছু উশৃঙ্খল মানুষ আমাদের সদর দপ্তরে এসে অফিসে হামলা করেছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উত্তেজিত জনতা প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে গেছে।
এদিকে বেশ কয়েক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে হাঁটা দূরত্বে ফায়ার সার্ভিসের অফিস হলেও আগুর নিয়ন্ত্রণের কাজে শুরুতে গড়িমসি করেছে তারা। সঠিকভাবে কাজ শুরু করলে এতো ভয়াবহ অবস্থা হতো না বলে দাবি তাদের।
দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বঙ্গবাজরের ভয়াবহ আগুন। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিঃস্ব হয়ে গেছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।
এদিকে বঙ্গবাজারের চারপাশে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবির ফায়ার ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বঙ্গবাজার লাগোয়া এনক্সকো ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচতলা ওই ভবনে কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মালামাল সরানো জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তারা।