উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সহকারী ইন্সট্রাক্টর হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়া ঠেকাতে এবার মাঠে নেমেছেন প্রাথমিকের শিক্ষক নেতারা।
প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংগঠনের ১৭ জন শিক্ষক নেতা যৌথ বিবৃতি দিয়ে সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে চলতি দায়িত্ব দিয়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার যে প্রস্তাব উঠেছে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। এর আগে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নামে একটি সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের কাছে দেওয়া একটি আবেদনে ১৭ সংগঠনের শিক্ষক নেতারা বলেছেন, বিভিন্ন থানা/উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিপিই মহাপরিচালক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের বিদ্যমান শূন্যপদে চলতি দায়িত্ব প্রদানের জন্য এক প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এরপর তারা একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে সংবাদ মাধ্যমের কাছে।
প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদটি ১০ম গ্রেডের ২য় শ্রেণির মর্যাদার পদ। এই পদের ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে এবং ৮০ শতাংশ পদ ফিডার পদ হিসেবে শিক্ষকদের (বিভাগীয় প্রার্থী) জন্য সংরক্ষিত। পক্ষান্তরে থানা/উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদটি ১৬তম গ্রেডের। একজন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১১তম এবং সহকারী শিক্ষকের ১৩তম। এই ১৬তম গ্রেডের একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর যদি শিক্ষকদের প্রশিক্ষক হয় তা শুধু বৈষম্য নয়, রীতিমত অপমানজনক হবে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদটি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ঊর্ধ্বতন পদ। পক্ষান্তরে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদটি কোনোভাবেই অব্যবহিত নিম্ন পদ বা এক ধাপ নিম্ন পদ নয়। তাই, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশিকার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাছাড়া সহকারী ইন্সট্রাক্টরের কাজ আর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ সম্পূর্ণ ভিন্ন। ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
বিষয়টি বিবেচনা করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সহকারী ইন্সট্রাক্টরের বিদ্যমান শূন্যপদে চলতি দায়িত্ব প্রদানের প্রস্তাবনা বাতিল করে প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি অনুসারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে চলতি দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সচিবের কাছে দাবি জানান তিনি।