ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রিয়জনদের কাছে ফিরতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। বুধবার (১৯ এপ্রিল) ভোর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক রয়েছে সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক। কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজট নেই। ভোরের দিকে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেশি থাকলেও এখন সেই তুলনায় কম।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে সার্জেন্ট তাহাজ্জত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে তবে কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। ভোরের দিকে যানবাহনের চাপ একটু বেশি ছিল। সেই তুলনায় এখন কম। এছাড়া কোনো পরিবহন যেন এলোমেলো ঢুকে যানজটের সৃষ্টি না করতে পারে সেদিকে খুব খেয়াল রাখা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে নওগাঁগামী শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার রহমত আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কের এবার এখনো কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি পাইনি। পুরো ঈদযাত্রাটা এভাবে চললে মানুষের ও আমাদের পরিবহন শ্রমিকদের যাতায়াতটা নির্বিঘ্ন হবে। অন্যান্য বছর মহাসড়কে যে কষ্ট করতে হয় এবার তা করতে হচ্ছে না।
হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে কোথাও কোনও ধীরগতি বা যানজটের মতো কোনও অবস্থা তৈরি হয়নি। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা তৎপর রয়েছি। এসপি স্যার নিজেও আমাদের সঙ্গে মহাসড়কে উপস্থিত থেকে যান চলাচল পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে মহাসড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল। অনেক পরিমাণে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চলতে দেখা যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কে যানবাহন বাড়ছে। ভোরের দিক সেটি আরও বেড়েছে। তবে মহাসড়কে চাপ থাকলেও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। আশা করছি উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের এবারের ঈদযাত্রা অনেকটাই নির্বিঘ্ন হবে। এছাড়া যানবাহন ও ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে ও তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।
প্রসঙ্গত, এবারের ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আজ ভোর ৬টা থেকে প্রায় ৮শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত হয়েছে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ।