প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তবে কেউ গুজব রটাতে পারে। কেউ গুজব রটালে সে যদি ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, প্রশ্নপত্র বিতরণ কেন্দ্রিক দুই একটি ভুল হয়ে যায়। সেগুলো তো অনিচ্ছাকৃত ভুল। তবে গতবার অনিচ্ছাকৃতভাবে যে কয়েকটি জায়গায় বিতরণে ভুল হয়েছে তাদের কিন্তু কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। তাই আশা করি সব জায়গায় পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে যারা দায়িত্বে থাকেন তাদের যেন কোনোভাবে ভুল না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সচেতন থাকবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। আর অভিভাবকদের বলব, সন্তানকে পরীক্ষা কেন্দ্রিক অনৈতিক কোনো কিছুতে উদ্বুদ্ধ করবেন না। শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে ভাল রাখুন, কোনো ধরনের চাপে রাখবেন না।
তিনি আরও বলেন, করোনার পর এবার যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা সার্বিক প্রস্তুতির একটি সময় পেয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রিক সার্বিক বিষয়গুলো গতবছর আমরা আরেকটু এগিয়ে আনতে পারতাম কিন্তু সে সময়ে হঠাৎ বন্যার কারণে কিছুটা পিছিয়ে আসতে হয়েছে। গত বছরের থেকে এবার আমরা এগিয়ে এনেছি, সামনে বছর চেষ্টা করব স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি যেতে পারি।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুরো কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নেন।
এর আগে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করতে থাকেন এই কেন্দ্রের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করেন। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়।
জানা গেছে, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি।
ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের গুজব, চারটি গ্রুপ নজরদারিতে
এবারের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড। তারপরও ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর হয়েছে। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে টাকার বিনিময়ে অগ্রিম প্রশ্ন দেওয়া হবে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে।