অধ্যাপক ড. এস তাহের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আসামিদের রিভিউ আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বেঞ্চ স্বাক্ষর করার পর ২১ পুষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ফলে এ মামলার আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা রইল না।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ২০০৮ সালের ২২ মে আলোচিত এই মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আব্দুস সালাম।
খালাস পাওয়া দুই আসামি হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।
রায় ঘোষণার পর ওই বছরই বিচারিক আদালত থেকে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় হাইকোর্টে। একইসঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অন্য দুইজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে তারা হলেন- রাবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন- জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আব্দুস সালাম।
এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে পৃথক আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রেখে রায় দেন। ১৫ সেপ্টেম্বর আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ার পর আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন।