জয়পুরহাট প্রতিনিধি:- জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেনকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচবিবি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শেষে সন্ধ্যায় পাঁচবিবি বারোয়ারী চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করে সংগঠনটি।
পাঁচবিবি উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি নেতা আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন-আক্রান্ত জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ নওশাদ আলী মন্ডল, প্রভাষক সাইদুর রহমান, আবু নছর চৌধুরী ফরহাদ, এসএম মাসুম মিয়া, সাইফুল ইসলাম বুলেট, ছাত্রদল নেতা সাকিব হোসেন, যুবদল নেতা হারুনুর রশিদ দোয়েল প্রমূখ।শামীমের উপর হামলার মুলহোতাসহ সকল আসামীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে কঠোর কর্মসূচীর হুঁষিয়ারী দেন বক্তারা।
মামলা সূত্রের বরাত দিয়ে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক দ্বন্দের জেরে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাবেকুন্নাহার শিখা ও তার স্বামী শাহ কামাল রাসেল পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিএনপি নেতা শামীম হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাসেলের তার নিজ এলাকা ফরিদপুর জেলাসহ বিভন্ন এলাকা থেকে বেশ ক’জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে আনেন। ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সোমবার পহেলা বৈশাখের রাতে বি্এনপি নেতা শামীমকে লক্ষ করে ৩ রাউন্ড গুলি ছুঁরলেও তা লক্ষভ্রষ্ট হয়, এরপর আবরো গুলি করার চেষ্টাকালে ও শামীম ও তার সঙ্গীয়দের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদত মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লা নামে এক যুবককে আটক করলেও অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় শামীম হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচবিবি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন-ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদৎ মোল্লার ছেলে ধৃত রুরেল মোল্রা (৩২)ছাড়াও পলাতক একই গ্রামের সামছুলের ছেলে রাশেদ (৩০), পাচবিবি পৌর এলাকার বর্তমান বাসিন্দা (পূর্ব ঠিকানা ফরিদ জেলা)নূরুল ইসলামের ছেলে শাহ কামল রাসেল (৩৬) ও তার স্ত্রী সাবেক পাচবিবি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ২৪’ এর গনঅভ্যূত্থানে হত্যা মামলার আসামী সাবেকুন্নাহার শিখা (২৭), একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মন্ডলসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জন। বিকালে মামলা গ্রহনের পর আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে বিকালে মামলা দায়েরের পর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।