হোস্টেলে খাবার নেই, পানি নেই, নেই বিদ্যুৎ। হোস্টেলের বাইরে রাস্তায় পড়ে আছে ইতস্তত লাশ। সেনাবাহিনীর বুটের খটখট আওয়াজ। দুঃস্বপ্নের রাত কাটাচ্ছে মণিপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা মেডিক্যাল পড়তে আসা ভিন রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের। রোববার রাত পর্যন্ত ২৪০ জন এমন ছাত্র-ছাত্রীকে তাদের রাজ্যে ফেরৎ পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। এখনও আটক আছে প্রায় এক হাজার ছাত্র ছাত্রী। মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে তাদের রাজ্যের ছাত্রদের জন্যে। রাজস্থান তাদের ১২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ইন্ডিগো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গের আটকে পড়া ছাত্র-ছাত্রীর জন্যও ব্যবস্থা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলাদা হেল্পলাইন ও ডেস্ক খুলেছে এই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।
মূলত এরা আইআইটি, এনআইটি এবং মনিপুর মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। সমস্যা হচ্ছে বিমানের এবং বিমান ভাড়ার। ইমফল থেকে ভারতের যে কোনো জায়গার বিমানের টিকিটের দাম চার পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে। ইমফল বিমান বন্দরে এক কলকাতার ব্যাংক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিনিধি। তিনি জানান, কলকতার বিমান ভাড়া হয়ে গেছে পঁচিশ হাজার টাকা থেকে তিরিশ হাজার টাকা। তাই তিনি সপরিবারে বিমান বন্দরে আটকে রয়েছেন তিনদিন ধরে। অনিশ্চিত হয়ে গেল ভবিষ্যৎ। মাথার ওপর ছাদ নেই, পড়াশোনার কী হবে কেউ তা জানে না। মেইতেই বনাম নাগা-কুকিদের সংঘাত তাদের জীবনে এক গভীর ক্ষত চিহ্নের সৃষ্টি করলো। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়েই শিক্ষার্থীরা ফিরে যাচ্ছে নিজের নিকেতনে।