গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ই্উনূসের ১১শ কোটি টাকার কর ফাঁকির মামলা কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে অন্য কোর্টে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার এ আদেশ দেওয়া হয়।
ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১০০ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত নয়টি প্রতিষ্ঠানের কর-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছিল দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দফতরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণে ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা।
এদিকে গত রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হাইকোর্টকে জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০১২-১৭ এই পাঁচ বছরে ১১শ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন।