অবশেষে মুক্তি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দু’দিন হাজতে থাকার পর শনিবার ভোরে লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে পৌঁছান তিনি। ইমরানের অভিযোগ, ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধান তাকে জোর করে আটকে রাখতে চাইছিলেন।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে সমর্থকদের প্রবল উল্লাসধ্বনির মাঝে জামান পার্কের বাড়িতে পৌঁছান ‘কাপ্তান’। ইসলামাবাদ থেকে লাহোর পর্যন্ত ইমরানের সঙ্গে ছিলেন তার দলের সমর্থকরা।
এদিকে, বাড়ি ফিরে ইসলামাবাদ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান। ইমরান দাবি করেন, কিছুতেই তাকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে বেরতে দিচ্ছিলেন না ওই পুলিশকর্তা। জামিন পাওয়ার পরও নিরাপত্তার অজুহাতে তাকে প্রায় তিনঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয়।
পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনে ইমরান বলেন, ‘আমরা তাকে (ইন্সপেক্টর জেনারেল) স্পষ্ট ভাষায় জানাই যে এই অপহরণের কথা গোটা পাকিস্তান জানতে পারবে। একথা বলার পর বাধ্য হয়ে তিনি আমাদের মুক্তি দেন। বাইরে এসে দেখলাম রাস্তায় সেই অর্থে কোনও ভিড় বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
এর আগে শুক্রবার জামিন শুনানির ফাঁকে ইমরান খান যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তিনি সব কিছুর জন্য সরাসরি সেনাপ্রধানকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, যা কিছু ঘটছে, তার জন্য একজনই দায়ী, তিনি হচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
এছাড়া শুক্রবার ইসলামাবাদ পুলিশ ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ইমরান খানের নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা হলে ইসলামাবাদ পুলিশ দায়ী থাকবে না। সংস্থাটি ইমরান খানের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করারও অভিযোগ করে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৯ মে) পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কার্যত টেনেহিঁচড়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই বিক্ষোভে আগুন জ্বলে উঠে পাকিস্তানে। গত বৃহস্পতিবারই তার গ্রেপ্তারিকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়েছিল পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্ট। এরপর শুক্রবারই ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় দুই সপ্তাহের জামিন পান তিনি। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ। ইমরানের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ১২১টি মামলা ঝুলছে।