বর্তমান জীবনযাত্রায় অনিয়ম, প্রবল কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপের কারণে ডায়াবেটিসের রোগী এখন ঘরে ঘরে। বয়স ৩০ পেরোতে না পেরোতেই অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে। এই রোগের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধছে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো হাজার রোগ।
রক্তে ইনসুলিনের অভাবই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, জীবনযাত্রায় খানিক পরিবর্তন আনলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। দীর্ঘদিন ধরে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে অন্যান্য অনেক রোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে হৃদ্রোগ সংক্রান্ত জটিলতা
দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ধমনীতে মেদ জমার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। রক্তে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তবাহী ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়,যা রক্ত সঞ্চালনের গতি শ্লথ করে দেয়।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে স্নায়ুর জটিলতা
দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস থাকলে হাত-পায়ের স্নায়ুর সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘নিউরোপ্যাথি’ বলা হয়। এই রোগ হলে হাতের বা পায়ের পাতায় জ্বালা ভাব, ব্যথা, অবশ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে কিডনির সমস্যা
ডায়াবিটিস থাকলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই সতর্ক করেন কিডনি সম্বন্ধে। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে কিডনি তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে শরীরে ফ্লুইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা থেকে পরবর্তী কালে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে চোখের সমস্যা
রক্তে শর্করা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে তা চোখের রেটিনার রক্তনালিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘রেটিনোপ্যাথি’। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে মুখের সমস্যা
ডায়াবিটিস থেকে দাঁতের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। দাঁতে ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে গেলে মুখে দুর্গন্ধ, মাড়িতে সংক্রমণ এবং মুখের ভিতর ঘায়ের প্রবণতা বা়ড়তে থাকে।