যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন ওয়েস্টমিনস্টার রাজপ্রাসাদ একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন এই ভবন এখন ভেঙ্গে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে।
সম্প্রতি হাউস অব কমন্সে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাচীন এই পার্লামেন্ট ভবনের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় ফাটল দেয়া দিয়েছে, পানি চুঁইয়ে পড়ছে। এ ছাড়া আগুন লাগলে তা নেভানোর মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ফলে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটলে ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।
রিপোর্টে আইনপ্রণেতাদের বক্তব্য, ভবনটির বর্তমান অবস্থায় সস্কার করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। কিন্তু আরও সময় ব্যয় করলে খরচ বহু গুণ বেড়ে যাবে। যা করদাতাদের টাকা থেকেই নিতে হবে।
এছাড়া আরও অপেক্ষা করলে ভবনটি সংস্কারের অযোগ্যও হয়ে পড়তে পারে।
এর আগেও পার্লামেন্ট ভবনের সংস্কার নিয়ে বার বার আলোচনা হলেও সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ ছাড়া আলোচনাও এগিয়েছে খুব ধীর গতিতে বলছে কমিটি।
২০১৮ সালে অনেকেই ভোটের মাধ্যমে ঠিক করেছিলেন, সংস্কারের জন্য ২০২০ সালে ভবনটি কিছুদিনের জন্য খালি করে দেওয়া হবে। কিন্তু ২০২০ সালে পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যেতে চাননি অনেকে। ফলে সম্ভব হয়নি সংস্কারও।
গত বছর, সংসদ মেরামত প্রকল্পের তদারকির জন্য গঠিত সংস্থাটি বাতিল করা হয়।
এদিকে দিন যত যাচ্ছে ওয়েস্টমিনস্টার ভবনটি আরও জরাজীর্ণ হচ্ছে। ভবনটির যান্ত্রিক এবং বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ১৯৪০ এর দশকে সর্বশেষ মেরামত করা হয়েছিল।
হাউস অফ কমন্স কমিটির তথ্যমতে, ২০১৬ সাল থেকে পার্লামেন্ট ভবনে অন্তত ৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এখন ২৪ ঘণ্টা দমকলকর্মীরা ভবনটি পাহারা দেন।
১৮৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডে পুরোনো ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ নষ্ট হওয়ার পর চার্লস ব্যারি নামক এক প্রকৌশলী নতুন ভবনটি তৈরি করেন। নিও গথিক স্থাপত্যের সেই ভবনই এখন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট।