পাকিস্তানের সাথে নিজেদের বন্ধুত্বের দাম দিতে আগামী সপ্তাহে কাশ্মিরে অনুষ্ঠিত জি-২০ বৈঠকে চীন ও তুরস্কে অংশ না নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার, অনেক দেশই উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের পাঠাবে না এ বৈঠকে। ইন্দোনেশিয়া জি-২০ বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাবে কি-না, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মির আন্তর্জাতিক কনভেনশনাল সেন্টারে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর কাশ্মিরে এটাই আন্তর্জাতিক স্তরের সব থেকে বড় বৈঠক।
ডাল হ্রদের তীরে অবস্থিত ওই কনভেনশনাল সেন্টারে জি-২০-র বৈঠক করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। কয়েক দিন আগে গোয়ায় শাংহাই কো-অপারেশন অর্গনাইজেশনের বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছিলেন, ‘কাশ্মিরে জি-২০ বৈঠক করার জবাব সময় মতো ভারতকে দেয়া হবে।’
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ দেশগুলো শ্রীনগরের বৈঠকে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে নারাজ।
পাকিস্তানের আপত্তি এবং চীন-তুরস্কের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ভারত সরকার অনড়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের সকল রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেই জি-২০-র বৈঠক করা হবে। কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই সেখানে জি-২০-র বৈঠক হচ্ছে।
এর আগে অরুণাচলপ্রদেশে অনুষ্ঠিত জি-২০ বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল চীন। কারণ, অরুণাচলকে চীন নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দাবি করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের সমালোচনা করে এসেছেন আগে থেকেই।
চীন, তুরস্ক প্রতিনিধি না পাঠালেও অর্গনাইজেশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজের সবথেকে প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব কাশ্মিরে তাদের প্রতিনিধি পাঠাবে। তবে সৌদি থেকে কোনো প্রতিনিধি না পাঠিয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের সম্ভাবনা রয়েছে এ বৈঠকে অংশ নেয়ার।