ইরানের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞায় ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রজেক্টের ওপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে কিনা তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চেয়েছে পাকিস্তান। দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন পাকিস্তানি পত্রিকা দ্য নিউজকে। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এ বিষয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বেশ কয়েকবার জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। বিশেষ করে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন পেট্রোলিয়াম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুসাদিক মালিক। সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তিনি। জানতে চেয়েছেন ইরানের ওপর দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পাকিস্তানের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা।
এর আগে একই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক স্পেশাল এসিসট্যান্ট সৈয়দ তারিক ফাতেমি। ওই কর্মকর্তা বলেন, কিন্তু এর কোনো জবাব দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ওই গ্যাস পাইপলাইনটি বিলম্বিত হয়ে আছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জবাবের অপেক্ষা করছে পাকিস্তান।
তাদের জবাবের ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে এই প্রকল্প নিয়ে বর্তমানে খুব আশাবাদী পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বন্ধুত্বের নতুন যুগে তারা বেশি আশাবাদী হয়ে উঠেছে। অতীতে এই প্রজেক্টের বিরোধিতা করেছিল সৌদি আরব। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী এ বছর জানুয়ারিতে ইসলামাবাদকে তেহরান অনুরোধ করেছে ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইনের অংশবিশেষের কাজ করতে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে এই কাজ করার অনুরোধ করেছে। যদি পাকিস্তান তা করতে না পারে তাহলে তাদেরকে জরিমানা দিতে হবে ১৮০০ কোটি ডলার।
ওদিকে ইরান কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা অবৈধ। এরই মধ্যে নিজস্ব অংশে পাইপলাইন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে ইরান।