ইসলামাবাদ আদালত চত্বরে সহিংসতা সংক্রান্ত আট মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তানে তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। মঙ্গলবার পিটিআই প্রধানের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৮ জুন পর্যন্ত ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১৮ মার্চ তোষাখানা মামলার শুনানি চলাকালে ইমরান ও তার দলের কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল ও তারা ইসলামাবাদের ফেডারেল জুডিশিয়াল কমপ্লেক্স (এফজেসি) এর চত্বরে সহিংসতা করে বলে অভিযোগ পুলিশের। এই অভিযোগের পর ইমরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রাজধানীর একাধিক থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় আজ ইমরান খান দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোয় (এনএবি) হাজির হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। আগের দিনই ইমরান খান বলেন, আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। তবে জমিন শুনানি শেষে তেমন কিছু ঘটেনি। ইমরান নির্বিঘ্নেই আদালত চত্বর ছেড়ে গেছেন।
এর আগে তার স্ত্রী বুশরা বিবি ১৯ কোটি পাউন্ড বন্ডের বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার ইসলামাবাদের একটি আদালত থেকে সুরক্ষামূলক এমন জামিন পেয়েছেন বুশরা বিবি। এ সময় দুর্নীতির কয়েকটি মামলায় জামিন পেতে আদালতে যাওয়া ইমরান খান উপস্থিত ছিলেন।
আলোচিত দুর্নীতির মামলায় আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় গত ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় গত ১২ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাকে দুই সপ্তাহের জামিন দেয়।
এসময় পিটিআই ও ইমরান খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সালমান সফদার, খাজা হারিস, ইন্তেজার পাঞ্জোথা, গোহর আলি খান এবং আলী আইজাজের সমন্বয়ে গঠিত একটি আইনি দল।
পিটিআই প্রধানের আগমনের আগে বিচার বিভাগীয় কমপ্লেক্স এবং এনএবি অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় সেখানে আরো বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী আজ তার পুনরায় গ্রেপ্তারের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সূত্র: জিও নিউজ