গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের তথ্য এবার মেসেজিং অ্যাপ ‘হোয়াটসঅ্যাপে’র মাধ্যমে বিনিময় করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে এবার ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রিটার্নিং অফিস থেকে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নোটিশসহ যাবতীয় তথ্য এবং কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন তথ্য বিনিময় করা হবে।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে যাদের মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ নেই, তাদের অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে বলা হয়েছে এবং রিটার্নিং কার্যালয়ের মোবাইল ফোন নম্বরে থাকা হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে নিজেদের নম্বর যুক্ত করে নিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য তাদের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সবসময় সচল রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়।
তবে নির্বাচন চলাকালে মোবাইল ইন্টারনেটসেবা বিঘ্নিত হলে বা গতি কম থাকলে তখন মোবাইলেই যোগাযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
তিনি জানান, এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গাজীপুরে ভোট হবে ইভিএমে। সেজন্য প্রতি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ইভিএম থাকবে। কোনো মেশিনে সমস্যা দেখা দিলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে তা ত্রুটিমুক্ত করা যায় সেজন্য পর্যাপ্ত ট্রাবলশুটিং কর্মকর্তাও থাকবেন বলে জানান ফরিদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন। এর মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইভিএমসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব সামগ্রী গাজীপুরে পৌঁছেছে। বুধবার নগরীর পাঁচটি স্থান থেকে সেসব সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
গাজীপুর সিটিতে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৯টি। ভোট কেন্দ্র ৪৮০টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৩টি।
প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ৪৮০ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৩৪৯৭ জন, পোলিং অফিসার ৬৯৯৪ জন এবং মোট ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা রয়েছেন ১১ হাজার।