চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. গোলাম ইয়াজদানী ঠিকাদারদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার জেরে থমকে আছে আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। প্রায় চার মাস ধরে প্রকল্পটি আটকে রয়েছে। জানা গেছে, এই আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালনার জন্য ড. গোলাম ইয়াজদানীকে পিডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
এ অবস্থায় গত ২৯ জানুয়ারি একদল ঠিকাদার তার কার্যালয়ে হামলা চালান এবং তারা তার টেবিলের কাচ এবং দরজার বাইরের নামফলক ভেঙে ফেলে ড. ইয়াজদানীকে লাঞ্ছিত করেন। এরপর থেকে তিনি আর কর্মস্থলে ফিরে আসেননি। এমনকি ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক এই আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য কাউকেও দায়িত্ব বা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে থমকে রয়েছে প্রকল্পটি। জানা গেছে, ড. গোলাম ইয়াজদানীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় চসিক মামলা দায়ের করে এবং এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার ও অভিযুক্ত ১০ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তাছাড়া চসিক ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করেছে। বিষয়টি নিয়ে চসিকের নীতিনির্ধারণী ফোরাম একাধিক সাধারণ সভাও করেছে। সর্বশেষ গত বুধবার অনুষ্ঠিত ২৮তম সভায়ও কাউন্সিলররা প্রকল্পের জন্য নতুন পিডি নিয়োগ দেওয়ার দাবি উত্থাপন করেন। সে অনুযায়ী প্রকল্প পরিচালকের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে চসিকের প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রকল্পটির পরিচালক (ড. গোলাম ইয়াজদানী) এখনো চসিকে যোগ দেননি। নতুন কাউকে নিয়োগও দেওয়া হয়নি। তাই গত সাধারণ সভায় নতুন পিডি নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রকৌশলী লাঞ্ছনার শিকার ড. গোলাম ইয়াজদানী বলেন, ‘আমি এখনো চসিকে যোগ দিইনি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।