আদালত যদি পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করে সেক্ষেত্রে দলের প্রধান কে হবেন তা নির্ধারন করে দিয়েছেন তিনি। শনিবার লাহোরের জামান পার্কের বাড়িতে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সঙ্গে এক বৈঠকে নিজের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীর নাম ঘোষণা করেন খান। তিনি বলেন, যদি আমি অযোগ্য ঘোষিত হই, তাহলে শাহ মেহমুদ কুরেশি এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। এ খবর দিয়েছে জিও টিভি।
খবরে জানানো হয়, এমন সময় ইমরান খান এই বিবৃতিটি দিলেন যখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে রীতিমতো যুদ্ধ করে চলেছেন ইমরান খান। একের পর এক মামলায় ফেসে যাচ্ছেন তিনি। এরমধ্যে গত ৯ই মে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে ইমরান খানের রাজনীতির সুযোগ একেবারেই পাল্টে গেছে।
চার দিনের মাথায় খান মুক্তি পেলেও তার সমর্থকরা দেশব্যাপী যে সহিংসতা করেছে সেই দায় এখন তাকে নিতে হচ্ছে। আর এতে হুমকিতে পড়েছে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও। সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করে পিটিআই সমর্থকদের তাণ্ডবের পর নিরপেক্ষতা ভেঙে প্রকাশ্যে ইমরানের বিরোধিতা করতে শুরু করেছে পাক সেনা বাহিনী।
পিটিআই সমর্থকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সামরিক আদালতে বিচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইমরান খান আশঙ্কা করছেন, তাকেও হয়ত আর রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। চারদিক থেকে তাকে চেপে ধরা হচ্ছে। এদিকে পিটিআই নেতাদের গণহারে দল ত্যাগ নিয়ে ইমরান খান বলেন, পরিস্থিতি খুব দ্রুত পাল্টে যাবে। আমি শিগগিরই বড় সারপ্রাইজ দিতে যাচ্ছি। তিনি দাবি করেন, কিছু দলীয় নেতা চাপের মুখে দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আবার কিছু আছেন যাদের মুখোশ খুলে গিয়েছিল। এরপরেও আগামী নির্বাচনে পিটিআই জিতবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন খান। তিনি বলেন, আমাকে গ্রেপ্তার, অযোগ্য ঘোষণা এবং সর্বশেষ হত্যার পরিকল্পনা চলছে।
তিনি তার দলের কর্মীদের সামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিয়েছেন এমন অভিযোগের জবাবে পিটিআই প্রধান এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন যে, তিনি কখনো সহিংসতা ও ভাঙচুরের নির্দেশ দেননি। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর সাথে তার কোন বিরোধ নেই। তার ভাষায়, সেনাবাহিনীর সাথে কোন লড়াই নেই, এই সেনাবাহিনী আমার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য জোট সরকারকে দায়ী করেন। পাশাপাশি নির্বাচন ছাড়া রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান হবে না বলে তার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন ইমরান খান।