• বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন

প্রয়োজনে সংসদ নির্বাচনে আরও কঠোর হবে ইসি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিবেশ-পরিস্থিতি ডিমান্ড করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আরও কঠোর হবে। তিনি আরও জানান, পরিবেশ পরিস্থিতি যদি বলে এভাবে চললেই হবে, তাহলে আমরা এভাবেই চলব। এটা পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ইভিএম চেয়ে না পেয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে হাল ছেড়ে দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলনতানা।

তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট করতে পারলে খুবই ভালো হতো। আমরা, যারা ভোট কন্ডাক্ট করছি তারা খুবই স্বস্তিতে থাকতাম। ইভিএমের ভোটটা আসলেই অনেক দিক দিয়ে সহজ। যে কারণে ইভিএমটা হলে খুবই ভালো হতো। হয় নাই, সে জন্য তো হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। ইভিাএমের জন্য তো আমরা নির্বাচন কমিশন বলতে পারব না যে, আমরা নির্বাচন করব না। এ কথা কী আমরা বলতে পারি? তা তো বলতে পারি না।’

তার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে বলা হচ্ছে মডেল নির্বাচন। এসব নির্বাচনে ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে জাতীয় নির্বাচনে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন কীভাবে।

প্রশ্নের উত্তরের ব্যাখ্যায় তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু অনেক আগে থেকেই ব্যালটে আমাদের নির্বাচনটা হয়ে আসছে, হয়তো কোনো সময় পছন্দ সই হয়েছে, কখনো হয়তো পছন্দ সই হয় নাই। যে কাজগুলো থেকে জনগণের কষ্ট হয়, আমরা ওই জায়গাগুলো নোটিশ করব। আমরা সুষ্ঠু একটা নির্বাচন করার চেষ্টা করব। মানুষ ভোট দিতে পারবে এটাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য। সেটি সিটি করপোরেশন… কেনো জাতীয় নির্বাচনেও আমরা সেই নীতিতেই থাকব।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তৃপ্তি অতৃপ্তির কোনো বিষয় আমাদের নেই। নির্বাচনে কে আসবে, কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কে করবে না সেটি একদম সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। নির্বাচন কমিশনের কাউকে আনার সুযোগ আসলে ওইভাবে নাই। সব দল আসলে আমরা অবশ্যই আরও ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন পাব, কাজ করে বেশি আনন্দ পাব। না আসলেও তো আমাদের নির্বাচনগুলো করতে হবে। কারণ আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শূন্য হলে এত দিনের মধ্যে করতে (নির্বাচন) হবে। কেউ আসছে না, এই জন্য তো আমরা এই জায়গায় স্টপ হয়ে যেতে পারি না।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে কি থাকবে না এই প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আমরা এই বিষয় নিয়ে এখনো বসিনি। আমাদের আরও নির্বাচন চলমান। আমরা এখন সেইটা নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে আমাদের এখন মনোযোগ বেশি। এগুলো গেলে তারপরে যখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বসব। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজ করা শুরু করব। আমরা নতুন করে কী করবো, না করব। তখন দেখব এখন কোনো কিছুই বলতে পারছি না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ