ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাতের সময় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, তাঁর অবস্থা গুরুতর। লুকাশেঙ্কোর বিরোধী নেতা ভ্যালেরি সেপকালো টুইটারে লিখেছেন: “আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুসারে, লুকাশেঙ্কো – বন্ধ দরজার পিছনে পুতিনের সাথে দেখা করার পর তাঁকে আশংকাজনক অবস্থায় মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে তিনি এখন আছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন। রাশিয়ান ডাক্তাররা জানাচ্ছেন তাঁর অবস্থা গুরুতর এবং তার রক্ত শুদ্ধ করা হয়েছিল। বেলারুশে ফিরে যাওয়ার জন্য তাঁর শরীর এখনো উপযুক্ত নয় বলে মনে করা হচ্ছে।” তবে কি বিষ মেশানো হয়েছিল বেলারুশের প্রেসিডেন্টের খাবারে? আন্তর্জাতিক মহলে উঠছে নানা প্রশ্ন। ভ্যালেরি সেপকালোর কথায়, “প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক অবস্থার জন্য ক্রেমলিন কোনওভাবেই দায় এড়াতে পারে না।”
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযানের সমর্থন ছাড়াও লুকাশেঙ্কো ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে, অনুমান করা হচ্ছে যে তাঁকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে যাতে রাশিয়া বেলারুশ থেকে আরও বাধ্য নেতা পেতে পারেন। বেশ কিছুদিন ধরেই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজ্যান্ডার লুকাশেঙ্কোর স্বাস্থ্য ভাল যাচ্ছিল না। মস্কো ভ্রমণের আগে, লুকাশেঙ্কো গত সপ্তাহে বার্ষিক ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন (EAEU) শীর্ষ সম্মেলনে বলেছিলেন যে তিনি “অ্যাডিনোভাইরাস” এ আক্রান্ত ,হয়েছিলেন।
সর্দি-কাশিতে ভুগছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে দৃশ্যতই ক্লান্ত লেগেছে, হাতে ব্যান্ডেজও দেখা গিয়েছিল। ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। গত সপ্তাহে অবশ্য লুকাশেঙ্কো নিজেই দাবি করেছিলেন যে তিনি ভাল রয়েছেন।
গত সপ্তাহেই আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো নিশ্চিত করেছিলেন, রাশিয়া বেলারুশে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা শুরু করেছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে এই প্রথম দেশের বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে বলে খবর। বেলারুশ একটি পূর্ব ইউরোপীয় দেশ যা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের পাশাপাশি তিনটি ন্যাটো দেশের সীমান্তবর্তী। পুতিন বলেন, তাদের জন্য বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র রাখার কাজ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। বেলারুশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিক্টর ক্রেনিন মিনস্কে তার রুশ প্রতিপক্ষ সের্গেই শোইগুর সাথে দেখা করার সময় বলেছেন, “ননস্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্রের মোতায়েন আমাদের জন্য বন্ধুত্বহীন দেশগুলির আগ্রাসী নীতির একটি কার্যকর প্রতিক্রিয়া।”
সূত্র : জিও টিভি