কিয়েভে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (জিইউআর) সদর দপ্তরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে রাশিয়া। রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার এটি নিশ্চিত করেছেন। খবর আরটির।
পুতিন বলেন, আমরা ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণ কেন্দ্রে’ আঘাত হানার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছি। স্বাভাবিকভাবেই, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সদর দপ্তর এমন একটি বিভাগে পড়ে এবং এটিতে দুই বা তিন দিন আগে আঘাত করা হয়েছিল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মস্কোতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার কথাও স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের হামলার মূল লক্ষ্য হল রাশিয়ার নাগরিকদের ‘ভীতি প্রদর্শন’ করার চেষ্টা করা, যা কিয়েভের পক্ষ থেকে ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপের’ একটি স্পষ্ট লক্ষণ।
ইউক্রেনের বিপরীতে মস্কো ‘উচ্চ-নির্ভুল’ অস্ত্রের সাহায্যে শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তু যেমন গোলাবারুদ ডাম্প বা জ্বালানী ডিপোতে আঘাত করছে। কিন্তু তারা আবাসিক ভবন টার্গেট করেছে, তিনি যোগ করেছেন।
পুতিন উল্লেখ করেছেন, মস্কোর বিমান বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা সর্বশেষ আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষেত্রে ‘ঠিক আছে’। কিন্তু এখনও উন্নতির জায়গা রয়েছে।
মস্কো এবং অন্যান্য রুশ শহরগুলিতে নির্বিচারে আক্রমণ করার কিয়েভের চূড়ান্ত লক্ষ্য রাশিয়ার ‘আয়না প্রতিক্রিয়া’ উস্কে দিচ্ছে।
পুতিন বলেন, ‘তারা আমাদেরকে মিরর অ্যাকশন নিতে উসকানি দিচ্ছে। আমরা এটি সম্পর্কে কি করতে পারি তা দেখব। তবুও, ইউক্রেনীয় নাগরিকদের, যারা অবশ্যই এখন কিছু বলতে পারে না, যেহেতু ইউক্রেন তার বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সন্ত্রাস প্রকাশ করেছে, তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ কিসের জন্য চাপ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুতর হুমকির মধ্যে রয়েছে ঝাপোরোঝিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজকে ‘ব্যহত’ করার জন্য কিয়েভের ক্রমাগত প্রচেষ্টা। সেইসাথে একটি ‘নোংরা’ পারমাণবিক ডিভাইস ব্যবহার করার সম্ভাব্য প্রচেষ্টা।