• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

আবারও গ্রেপ্তার হলেন (পিটিআই) দলের প্রেসিডেন্ট পারভেজ এলাহী।

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

আবারও গ্রেপ্তার হলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রেসিডেন্ট পারভেজ এলাহী। শনিবার তার মুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। গুজরানওয়ালা আদালত থেকে এদিন তিনি দুটি দুর্নীতি মামলায় জামিন পান। কিন্তু জেল থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ‘অবৈধভাবে নিয়োগের’ নতুন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাবের এন্টি-করাপশন এস্টাব্লিসমেন্ট বা এসিই। এ খবর দিয়েছে জিও টিভি।

খবরে জানানো হয়, এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো আদালতের মুক্তির নির্দেশের পর গ্রেপ্তার হলেন পারভেজ এলাহী। গুজরাটে রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তবে গুজরানওয়ালার এন্টি-করাপশন পুলিশ স্টেশনে দায়ের করা ওই মামলায় আদালত তাকে মুক্তি দেয়। কিন্তু এবার নতুন অভিযোগ এনে তাকে আবারও আটক করা হলো।

পারভেজ এলাহীর বিরুদ্ধে আনা নতুন অভিযোগে বলা হয়েছে, স্পিকার থাকাকালীন তিনি পাঞ্জাব পরিষদে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। এর একদিন আগেই একই স্টাইলে লাহোর আদালত থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। আদালত তার বিরুদ্ধে সাত কোটি রুপির দুর্নীতি মামলায় জামিন দিলেও নিস্তার মেলেনি তার।

তার মুক্তির পরপরই পাঞ্জাব এসিই নতুন মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। রোববার তাকে এসিই’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আফজালের সামনে উপস্থিত করা হয়।
পারভেজ এলাহীর ছেলে মুনিস এলাহী বলেছেন যে, তার বাবা লাহোর এবং গুজরানওয়ালায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। এখন তারা তাকে পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে নিয়োগের ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার অভিযোগ, মূলত তার বাবাকে নির্যাতনের জন্যই মামলা করা হচ্ছে।

মামলার তদন্ত ও অর্জিত অবৈধ অর্থ উদ্ধারের জন্য দলটি এলাহীর ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। কিন্তু আদালত এলাহীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় তার মুক্তির নির্দেশ দেয় এবং শারীরিক রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে দেয়। এলাহীর আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন যে, পাঞ্জাবের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে একটি থানায় আটকে রাখা হয়েছিল এবং তাকে দরকারি ওষুধ দেয়া হয়নি। এলাহী জানান যে, তাকে কষ্ট করে ওষুধ পেতে হয়েছিল। এমনকি তাকে বাথরুমও ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এলাহী বলেন, আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবে তাই হবে। এটি বিচার বিভাগের জন্য একটি পরীক্ষা।

এদিকে পুনরায় যে মামলায় এলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, স্পিকার থাকাকালীন পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে ১৭ গ্রেডের ১২ কর্মীকে অবৈধভাবে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। রেকর্ড পরিবর্তন করে প্রাদেশিক পরিষদে প্রার্থীদের এই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এসিই জানিয়েছে, তাদের তদন্তে এই অবৈধ নিয়োগের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ