বিস্ময়কর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চশমা উদ্ভাবন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিদিনের জীবনে নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা এমন অনেক জিনিস উদ্ভাবন করেছেন, যেগুলো একসময় শুধু কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। গত কয়েক দশকে বিজ্ঞানীরা এমন সব যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, যাদের কল্পবিজ্ঞানের যন্ত্রমানবের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এগুলো এখন বিভিন্ন আকার ও আয়তনে পৃথিবীর মানুষের কাজ করে দিচ্ছে অবিরাম। সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বিস্ময়কর চশমা উদ্ভাবন করেছেন এক মার্কিন তরুণ। ‘রিজজিপিটি’ নামের চশমাটির উদ্ভাবকের নাম ব্রায়ান চিয়াং। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভাইস নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই চশমাটি মানুষকে কথোপকথনে সাহায্য করবে। বিশেষ করে যাদের স্মৃতিশক্তি কিছুটা দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে কথোপকথন শুনে জবাবে কি বলতে হবে তা জানিয়ে দেবে চশমাটি। কারো সঙ্গে কথোপকথনের সময় প্রায়ই আমরা বিভিন্ন তথ্য ভুলে যাই। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অনেক সময়। কিংবা অনেকেই ইন্টারভিউয়ের সময় গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য মনে করতে পারেননা। এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছেন মার্কিন তরুণ ব্রায়ান চিয়াং। কেউ কোনো কিছু ভুলে গেলেও ভুলবে না তার আবিষ্কৃত ‘রিজজিপিটি’ নামের চশমাটি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এ চশমায় ব্যবহার করা হয়েছে ক্যামেরা, মাইক্রোফোনসহ একটি টু-ডি (দ্বিমাত্রিক) স্ক্রিন। কারো সঙ্গে কথা বলার সময় এসবের সাহায্যে সেটি শুনে নেবে চশমাটি। এরপর কি বলতে হবে তা জানাতে, কথোপকথনের সব তথ্য লিখিত আকারে ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবে, কৃত্রিম চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে। এরপর স্ক্রিনে ভেসে উঠবে প্রয়োজনীয় উত্তর। বিস্ময়কর চশমাটির উদ্ভাবক ব্রায়ান চিয়াং যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। চশমাটির ডিজাইন তৈরি করেছে ‘ব্রিলিয়ান্ট ল্যাব’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
ব্রায়ান জানিয়েছেন, ‘কৃত্রিম এ চশমা কোনোভাবেই মানুষের মস্তিষ্কের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে না বরং কথোপকথনের সময় ভুলে যাওয়া বিষয়গুলোকে মনে করিয়ে দিয়ে মানুষকে সাহায্য করবে চশমাটি।’
ব্রায়ান আরও জানান, এই চশমা কথোপকথনের সময় মানুষের ভূমিকাকে কমিয়ে দেবেনা। এটি কেবলই একটি সাহায্যকারী প্রযুক্তি। যার সাহায্যে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলোকে মনে করতে পারবে। মূলত যারা ভুলে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন তাদের বেশি কাজে লাগবে এ চশমা।