• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

লোডশেডিংয়ে আমার দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ও লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘একদিকে দ্রব্যমূল্য মূল্যস্ফীতি আর অপরদিকে এখন বিদ্যুৎ নেই- এই দুটো কষ্ট আমার দেশের মানুষ পাচ্ছে। আর একবার যদি বিদ্যুতের পাখায় বাতাস খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যায় তারপরে না পেলে তো আরও কষ্ট হয়ে যায়। এটাও তো বাস্তব কথা।’

রোববার (৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চিলাহাটি এক্সপ্রেসের উদ্বোধনকালে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সারা বিশ্বব্যাপী গ্যাস, তেল, কয়লা সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়াতে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না- এরকমই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। যার জন্য আমি জানি এই গরমে মানুষের তো কষ্ট হচ্ছে।

কিন্তু আজকে এই যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে প্রত্যেকটা দেশই কষ্ট পাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাস, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তার ওপর স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশনের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রত্যেকটা পণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে। জ্বালানির মূল্য বেড়েছে, গ্যাসের মূল্য বেড়েছে, খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, গম-চিনি যা কিছুই আমরা কিনতে যাচ্ছি সবকিছুর দাম বেড়েছে। যুদ্ধের কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে, সঞ্চালন ব্যয় বেড়ে গেছে। এমনকি বিদেশে আমরা যে ঋণ নিয়েছি তারা সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে আমাদের অর্থনীতির ওপর একটা চাপ আছে। সেটা মোকাবিলার জন্য আমাদের নিজেদেরও কিছু উদ্যোগ আছে।

যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ইউরোপের দেশগুলোয় বিদ্যুৎ ব্যবহার কমিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, গত শীতের সময় ইউরোপের দেশগুলো গরম পানি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছিল, কারণ তার সবকিছু ইলেকট্রিসিটিতে চলে। বাজারে গেলে সীমিতভাবে কিনতে হবে, একটা পরিবার ৬টা ডিম, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে পারবে না, তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবে না- ঠিক এই অবস্থা ছিল তাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখনো সেই অবস্থায় পড়েনি। ইনশাআল্লাহ পড়বেও না। তবে সেজন্য আমাদের দেশের মানুষকে একটা কাজ করতে হবে। আমি বারবার যেটা বলছি- আমাদের যত অনাবাদী জমি আছে সব জমি আমাদের চাষ করতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের যত জলাধার আছে সেখানে মাছের চাষ করতে হবে। তাছাড়া মাছ, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল যে যা পারেন সবাই কিছু না কিছু কাজ করবেন, উৎপাদন বাড়াবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া নীলফামারী প্রান্তে অন্যদের মধ্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

৮০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চিলাহাটি এক্সপ্রেস সপ্তাহে ছয় দিন ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে চলাচল করবে।

বর্তমানে ঢাকা-চিলাহাটি রুটে মালবাহী ট্রেন ও আন্তঃসীমান্ত ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ চলাচল করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ