পশ্চিম তীরে বড় মাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। এর উদ্দেশ্য পুরো অঞ্চলটিকে ‘শুদ্ধ’ করা বা দেশটির ভাষায় ‘সন্ত্রাসীমুক্ত করা’। হিব্রু সংবাদপত্র মারিভে প্রকাশিত এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
খবরে জানানো হয়, গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের হামলায় হেরমেশ বসতিতে মেইর তামারি নামের এক ইহুদি নিহত হন। এছাড়া প্রায়ই ইহুদি বসতিগুলোকে টার্গেট করে হামলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইসরাইল পশ্চিম তীরের পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে। ফিলিস্তিনিদের হামলার তীব্রতা প্রসঙ্গে মারিভ পত্রিকার সামরিক রিপোর্টার লেভ-রাম বলেন, ইসরাইল একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপদ রয়েছে। ২০২২ সালে মোট ২০ ইসরাইলি সেনা পশ্চিম তীরে নিহত হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য, সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলি একটি সম্ভাব্য বড় আকারের সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মারিভের প্রতিবেদক ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী খুব সম্ভবত নাবলুস এবং জেনিন শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক আক্রমণ চালাতে পারে। কারণ এই এলাকাগুলিতেই সবথেকে বেশি যোদ্ধা লুকিয়ে আছে। তবে এখনও এই অভিযানের অনুমোদন আসেনি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে।
যদি এর অনুমোদন পাওয়া যায় তাহলে বেশ কয়েক দিন ধরেই এই অভিযান চলতে থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন লেভ-রাম। অভিযানের অংশ হিসেবে পশ্চিম তীর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হবে এবং বিস্ফোরক তৈরির কারখানাগুলো ধ্বংস করা হবে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ গ্রেপ্তারের প্রস্তুতিও নিচ্ছে ইসরাইল।
কিন্তু লেভ-রামের মতে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী আশঙ্কা করছে যে- পশ্চিম তীরে এ ধরনের আক্রমণ চালালে গাজার সঙ্গে ইসরাইলের নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। গাজা থেকে প্রায়ই ইসরাইলে শত শত রকেট ছোঁড়া হয়। এতে ইসরাইলের মানুষের নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। এর পাল্টা জবাব দিলে আন্তর্জাতিক সমালোচনায় পড়তে হয় ইসরাইলকে। তাই পশ্চিম তীরে অভিযানের আগে আরও একবার পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করতে চাইছে দেশটি।