বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ‘ইন্তেকাল’ শব্দের ব্যবহারকে ‘দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
এছাড়াও ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ব্যর্থ এবং হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে গণমাধ্যমের সঙ্গে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়ে অসংলগ্ন মন্তব্য করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দ্রুত পদত্যাগ’ চেয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সংগঠনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের একটি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চেয়েছিলেন, কিন্তু ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অবাধ, নিরপেক্ষ, পেশীশক্তির প্রভাব মুক্ত, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হয়ে তারা সে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। বরিশালের ভেটার ও প্রার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির জনগণের দাবির মুখে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের নীরবতায় নির্বাচনের দিন সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষের পেশীশক্তির কাছে দুই বার আক্রান্ত হওয়া দুঃখজনক ঘটনা।
পাশাপাশি ‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন’ বলে সিইসি যে মন্তব্য করেছেন তা দায়িত্ব ও কাণ্ডজ্ঞানহীন। সিইসির এই মন্তব্য দেশবাসীর হৃদয় আঘাত করেছে। এ মন্তব্যের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করা জনদাবিতে পরিণত হয়েছে।