• বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের তাণ্ডবে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা এই ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে

আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ বর্তমানে অতিপ্রবল ঝড়ে পরিণত হয়েছে। তবে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা এই ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক মৃতুঞ্জয় মহাপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার গুজরাটের কুচ, দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, পোরবন্দর, রাজকোট, জুনাগড় এবং মোরবি জেলায় বাতাসের গতি সবচেয়ে বেশি থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

বাতাসের কারণে গাছপালা উপড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডালপালাও ভেঙে পড়তে পারে। মহাপাত্র বলেন, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারে পৌঁছালে অনেক দুর্বল স্থাপনা ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হতে পারে। পুরোনো কংক্রিট ও টিনের তৈরি ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আবাদি জমির ফসলেরও ক্ষতি হবে।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাটের দ্বারকা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন দেশটির আবহাওয়া বিভাগের এই মহাপরিচালক।

তিনি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মাথার অংশের প্রভাব ইতোমধ্যে কুচ ও দেবভূমি দ্বারকায় শুরু হয়েছে। সেখানকার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেছে। এই ধরনের মেঘ গতকালও (সোমবার) সেখানে ছিল। এছাড়া সৌরাষ্ট্রের উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

মহাপাত্র বলেন, গত ৬ জুন থেকে দ্রুতই প্রবল রূপ ধারণ করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। পরদিন অর্থাৎ ৭ জুন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ১১ জুন সকালের দিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় বিপর্যয়। মঙ্গলবার সকালে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে ঝড়টি। বর্তমানে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে এই ঝড়।

বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সৌরাষ্ট্র-কুচ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। সেই সময় এর সরাসরি প্রভাব শুরু হবে সেখানে। মহাপাত্র বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সৌরাষ্ট্র-কুচ ও পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান উপকূলের জাখাউ বন্দরের কাছের মান্দভি (গুজরাট) এবং করাচির (পাকিস্তান) মধ্যবর্তী অঞ্চলে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ