সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের বিশ্বম্ভপুর শক্তিয়ার খলা ১০০ মিটার ডুবন্ত সড়ক
দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে যাদুকাটা, চলতি নদীসহ সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমার পানি বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদী ফুলে উঠছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল পর্যন্ত বিপদসীমার ১.০১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে হাওরগুলো এখনও পানিশূন্য থাকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম।
এদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যাদুকাটা নদীর পানি উপচে গতকালই সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের বিশ্বম্ভপুর শক্তিয়ার খলা ১০০ মিটার ডুবন্ত সড়কের উপর দিয়ে হাওরে যাচ্ছে পানি। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই এ সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও কোথাও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। আগামী কয়েক দিন সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বিপদসীমা অতিক্রম করবে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে