‘সংবাদ প্রকাশের জেরে’ জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ থানায় চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা জানান, মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। ইতোম ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বুধবার রাতে বকশীগঞ্জের পাটহাটি মোড়ে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নাদিম অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
নাদিমের পরিবারের অভিযোগ, সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবু নাদিমকে খুনের হোতা। বাবুর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই নাদিমকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, ‘সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু ও তার লোকজনরা নাদিমের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার স্বামীর ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চাই।’
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি পর পর দুবার নৌকার মনোনয়ন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এদিকে শনিবার সকালে পঞ্চগড়ের সীমান্তবর্তী দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটির একটি চরাঞ্চলের আত্মীয় বাড়ি থেকে চেয়ারম্যান বাবুকে আটক করে র্যাব। নাদিম হত্যায় প্রধান আসামি বাবু ছাড়াও আরও ১০ জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।