মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিং পৌঁছেছেন। ছবি: রয়টার্স
দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক ও বেশ কিছু বিষয়ে দ্বন্দ্বের ভেতরে শেষ পর্যন্ত চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। রোববার (১৮ জুন) তিনি বেইজিংয়ে অবতরণ করেন। খবর রয়টার্সের।
ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে চীন সফরে গেলেন ব্লিঙ্কেন। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের বরফ গলতে পারে। একই সঙ্গে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বিরোধের অবসানের পথ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীন সফরে যাওয়ার কথা ছিল ব্লিঙ্কেনের, তবে সেই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চীনের ‘নজরদারি বেলুন’ ওড়ার ঘটনায় সফর স্থগিত হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে জো বাইডেনের দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রথম চীন সফর।
দুই দিনের সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং, দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে ব্লিঙ্কেনের। প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে তার।
খবরে বলা হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত চীনে অবস্থান করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং, চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই এবং সম্ভবত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে সংঘাতে পরিণত না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য উন্মুক্ত এবং টেকসই যোগাযোগের পথ তৈরি করতেই ব্লিঙ্কেনের এই সফর।
রয়টার্স জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেনের এই সফর আগামী মাসগুলোতে আরও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামীতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডোর সম্ভাব্য সফর অনুষ্ঠিত হতে পারে। তা ছাড়া বছরের শেষের দিকে বহুপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যেও বৈঠক হতে পারে।
এর আগে শনিবার বাইডেন বলেছিলেন, তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার আশা করছেন।