প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঘরমুখী মানুষ যাত্রা শুরু করেছেন। ঈদযাত্রার তৃতীয় দিন সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষ ভিড় করছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছেড়েছে। এদিকে টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ২৫ শতাংশ ট্রেনযাত্রীকে দেওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকিট।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার দিনের প্রথম আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে তৃতীয় দিনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। এদিন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ট্রেনযোগে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, এবারের ঈদযাত্রায় টিকিটের ব্যবস্থা শতভাগ অনলাইন পদ্ধতিতে চালুর কারণে বিগত সময়ের মতো স্টেশনে রাত জেগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি যাত্রীদের। তবে যারা অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি, তাদের জন্য স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানেও তেমন ভিড় নেই। সহজেই টিকিট কেটে গন্তব্যে যেতে পারছেন তারা। স্টেশনে ঢুকতে তিনটি তল্লাশি চৌকি পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। স্টেশনের ভেতরে নেই হট্টগোল। টিকিটধারীরা নির্ধারিত ট্রেন এলেই উঠছেন।
এসময় কথা হয় তিস্তা এক্সপ্রেসের যাত্রী সাদাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ট্রেন ছাড়ার পাঁচ মিনিট আগে আমি স্টেশনে এসে পৌঁছায়। কারণ আমি ভেবেছি ঈদের সময় ট্রেন বিলম্বে যাত্রা করবে। এসে দেখি ট্রেন টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে।
রাজশাহীগামী কাদের খান বলেন, আগের থেকে এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে হচ্ছে। কারণ এখন পর্যন্ত ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো যথা সময়ই ছেড়ে গেছে। অনলাইনে টিকিটের কারণে অনেক ভালো হয়েছে।
জামালপুরগামী যাত্রী লুনা বলেন, চার বছর পর গ্রামে যাচ্ছি। আগে গ্রামে যাওয়ার কথা মনে হলেই ভোগান্তি চোখে ভেসে উঠতো। এবার তেমন কোনো সমস্যা দেখছি না। আগে থেকেই টিকিট পাওয়ায় এসব ঝামেলা আর হচ্ছে না।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল থেকে সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। অনলাইনে আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়েছে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে কাউন্টার থেকে। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।