কৌশলগত কারণ বা প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন সহ স্টেট ডিপার্টমেন্ট আগে নয়, বরং বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যে,বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বক্তব্য দাখিল এবং পরবর্তীতে তার রেষ ধরে ভিসা নীতি আরোপ হওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান ৬ কংগ্রেসম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি এখন চুড়ান্ত। এসব কংগ্রেসম্যানরা হলেন-যথাক্রমে স্কট পেরি, বব গুড, বারী মর, টিম বারচেট, ওয়ারেন ডেভিডসন ও কিথ সেলফ।
আগামী ৪ জুলাই মার্কিন ফেডারেল আদালতে এই বহুল আলোচিত মামলাটি দায়ের করছেন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহ
বিশ্বজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ড. রাব্বী।
জনকণ্ঠের এ প্রতিনিধিকে টেলিফোনে রাব্বি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মহান স্বাধীনতা দিবস আগামী ৪ জুলাই। বাংলাদেশও একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র। তাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত করার ইন্দনদাতা কংগ্রেসম্যনদেরকেও একই দিন আইনের জবাবদিহিতায় আনতে এই বিশেষ দিনটি বেছে নিয়েছেন তিনি।
তিনি আশা করছেন, এই দিনটি সরকারিভাবে বন্ধ হলেও একই তারিখে অনলাইনে মামলার আরজিসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেবেন। পরবর্তীতে তিনি সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
তিনি আরও জানান, এই মামলা দেয়ার পর হয়ত দুই একদিনের মধ্যে তা নথিভুক্ত হবে এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী, একের পর এক সিদ্ধান্ত মহামান্য আদালত দেবেন। এতে মামলা সংক্রান্ত যে কোন সিদ্ধান্ত আসতেই পারে।
তিনি আরও জানান, চলতি মাসেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ এই মামলার আরজি সহ অন্য ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে গিয়ে সময়ের দরকার পড়ছে।
রাব্বী দুটি মামলাটি দায়ের করতে যাচ্ছেন, এমন খবর দৈনিক জনকণ্ঠের মাধ্যমে প্রথম গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর মিশিগান সহ গোটা যুক্তরাষ্ট্র শুধু নয় ,বিশ্ব জুড়ে তা তুমুল আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়।
ড. রাব্বী জানিয়েছেন, প্রিয় মাতৃভূমির সম্মান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ভাবমূর্তি, অর্থনৈতিক গতিধারা অক্ষুণ্ণ রাখার লক্ষ্যে কোন চাপ তাকে এই মামলা করার থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
তিনি জানান,এই মামলার ভাগ্য ফলাফল কি হবে তা নিয়ে ভাবছেন না তিনি। তবে তিনি শুধু একটি বার্তা বিশ্ববাসীকে দিতে চাচ্ছেন যে, বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহস করে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারে।