রাশিয়ায় ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের বিদ্রোহ বিষয়ে ফোন আলাপ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গতকাল রোববার জেলেনস্কি ও বাইডেনের মধ্যে এই ফোনালাপ হয় বলে জানায় আল জাজিরা। পরে এই ফোনালাপ নিয়ে টুইট করেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনে “ইতিবাচক এবং অনুপ্রেরণামূলক” আলোচনা করেছেন। তাঁরা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ নিয়ে কথা বলেছেন। রাশিয়ায় যেসব ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে আলাপ করেছেন।
জেলেনস্কি আরও বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি পুতিনের শাসনের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে।
ফোন আলাপে জেলেনস্কি রাশিয়ার উপর বৈশ্বিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান এবং বাইডেনের সাথে দূরপাল্লার অস্ত্রের উপর জোর দিয়ে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা করেন।
এদিকে ওয়াগনারের বিদ্রোহ নিয়ে মুখ খুলেছে চীন। ইউক্রেন অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে পুতিনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা দেশ চীন এই বিদ্রোহকে রাশিয়ার “অভ্যন্তরীণ বিষয়” বলে অভিহিত করে পুতিন সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং রোববার বেইজিংয়ে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুডেনকোর সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ সমর্থন জানান।
চীন তার প্রতিক্রিয়ায় জানায়, জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় রাশিয়াকে সমর্থন করে বেইজিং।
বৈঠক সম্পর্কে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কিন গ্যাং ও আন্দ্রে রুডেনকো চীন-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁরা স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। অন্যদিকে মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য রুশ নেতৃত্বের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বেইজিং।
শনিবার নিজ যোদ্ধাদের হত্যার অভিযোগ এনে রুশ সরকারের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এ সময় তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে অভিযাত্রা করেছিলেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় তিনি এই অভিযাত্রা বন্ধ করেন। সমঝোতা অনুযায়ী, প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাবেন। বিদ্রোহের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার হবে।