পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার ১২ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ।
পানির স্রোতে অনেক স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। পরিবার -পরিজন হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু নিয়ে একে একে মানুষ আসতে শুরু করেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন জানান, ঘরে কোমড় পানি উঠে গেছে। বাচ্চা-কাচ্চা সামলানো খুব কঠিন হয়ে গেছে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। ঘরে পানি উঠায় তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ বছর আমাদের প্রস্তুতি অনেক। তাই আশা করি এ বছর আমাদের কম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের যারা বসতঘরে পানি ঢুকে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের ত্রানের আওতায় আনা হবে। যদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তার জন্য আমাদের কয়েক শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য পুলিশ, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের সচল নৌকা ও স্পিডবোট প্রস্তুত রাখা আছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা মোকাবিলায় ৪৪৯ মেট্রিক টন জিআর চাল, ২২ লাখ টাকা ও দুই হাজার শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।