• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

ধর্ষণ মামলা তুলে না নেওয়ায় নারীর দুই পা ভেঙে দিল ইউপি সদস্য

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

বরগুনার তালতলীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রতিশোধ নিতে এক নারীর দুই পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদার বিরুদ্ধে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

রোববার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মঠখোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মঠখোলা এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ছোটবগি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনায়েত পিয়াদা কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় চলতি বছরের ৮ এপ্রিল রাতে ওই ইউপি সদস্যসহ ৫-৬ জন সিঁধকেটে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার হাত-মুখ ও পা রশি দিয়ে বেঁধে ইউপি সদস্য এনায়েতসহ আরও তিনজন ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ অজ্ঞাত পরিচয় চারজনকে আসামি করে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে তালতলী থানায় মামলা করেন। ইউপি সদস্য আদালতে হাজিরা দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে বের হয়ে বাদীকে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নেওয়াতে রোববার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাদীকে একা পেয়ে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদাসহ তার লোকজন বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে রড দিয়ে বাদীর দুই পায়ে আঘাত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীকে উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

হাসপাতালের রিপোর্টে দেখা গেছে, মারধরের শিকার ওই নারীর দুই পা ভেঙে গেছে। পরে কর্তরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে বরিশাল তার পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয়ে বাদী বলেন, আমাকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে আসছে এনায়েত মেম্বার। আমি মামলা না উঠালে তিনি আমার ওপর হামলা করেন। আমার দুই পা ভেঙে গেছে। আমি এর বিচার চাই।

এবিষয়ে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা বলেন, আমি কিছু জানি না। বিষয়টি মিথ্যা বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

তালতলী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাঈদ হাসান সোহাগ বলেন, রোগীর দুইটি পা ভেঙে গেছে। এজন্য তাকে রেফার করা হয়েছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুপমা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রিপোর্টে দুই পা ভাঙা দেখা গেলে প্রথমে বরিশালে এরপরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ