• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

আতঙ্ক সৃষ্টি করে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করত তারা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩

ফরিদপুরের বাখন্ডা বাজারে কয়েকটি স্বর্ণ, মুদি ও ইলেক্টনিক্স দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সরদারসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। টানা দুই দিন অভিযান চালিয়ে ঢাকার শ্যামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও মাদারীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন ইসমাইল সরদার ওরফে লিটন, মামুন সরদার, শেখ জাহাঙ্গীর, জলিল ওরফে সম্পদ ব্যাপারী, রুবেল মোল্লা, হারুন, সুমন মাতুব্বর ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাদের মধ্যে ডাকাত দলের সরদার হলেন- ইসমাইল সরদার ওরফে লিটন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় চলত ডাকাতি।

আটজনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি ডাকাতি হওয়া স্বর্ণও উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত তালা কাটার যন্ত্র, রুপার অলংকার ও ১৫টি মোবাইল ফোন, ককটেল তৈরির সালফার ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা ৩০ থেকে ৩৫ জন মিলে একটি গ্রুপ। তবে ডাকাতির সময় সাব গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ডাকাতি করত। তারা কোনো এলাকায় ডাকাতির সময় ককটেল ও বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করত, যাতে কেউ এগিয়ে না আসার সাহস পায়। এভাবে তারা মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করে আসছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, গত ২৭ মে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালীর বাখুন্ডা বাজারের নৈশপ্রহরীর ওপর অতর্কিত হামলা করে ডাকাত দলের সদস্যরা। তারা তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চোখ, মুখ, হাত ও পা বেঁধে মারধর করে। পরে বাজারের স্বর্ণের দোকান, মুদি দোকান, ইলেক্ট্রনিক্সের দোকনসহ বেশ কয়েকটি দোকানের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ডাকাতি করে পলিয়ে যায়।

সেই ঘটনায় ডাকাতি হওয়া দোকানের মালিকরা বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা ১২ থেকে ১৪ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তে গ্রেফতারকৃতদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

ফরিদ উদ্দিন জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, বরিশাল-ফরিদপুর, মাওয়া-গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন আন্তঃজেলা মহাসড়কে ডাকাতি করত। এসব সড়কের বিভিন্ন এলাকায় বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালককে জিম্মি করে টাকা পয়সা স্বণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করত।

গ্রেফতার সুমনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি ও হত্যা চেষ্টাসহ মোট ২০টি মামলা; মামুন সরদারের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মারামারিসহ তিনটি, ডাকাত সরদার মো. ইসমাইল সরদার ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতি মামলা; হারুন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতি ও একটি অপহরণ মামলা রয়েছে।

তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ