নদ-নদী ও হাওরের পানি বাড়লেও মাছ নেই। ফলে ভৈরবের মৎস্য আড়তে দেশীয় মাছের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বাজারে মাছ না থাকায় দাম বেড়েছ কয়েকগুণ।
শহরের পুলতাকান্দা মাছের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, মিঠাপানির মাছ নেই বললেই চলে। ব্যবসায়ীরা কয়েকটি বোয়াল, আইড়, বাইম মাছ ঢালায় সাজিয়ে রেখেছেন। তবে আড়তে পুকুরের চাষের রুই, কাতলা, টেংরা, চিংড়ি, শিং, কই মাছ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ক্রেতা ও পাইকাররা আড়তে ভিড় করছেন।
অন্য বছর এ সময়ে বর্ষার আগমনের নদনদী হাওরে দেশীয় মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর বর্ষার পানি একটু দেরিতে আসায় মাছের দেখা পাচ্ছে না জেলেরা। ভৈরব মৎস্য আড়ৎ থেকে প্রতিদিন দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য মিঠা পানির মাছ পাইকাররা সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
ভৈরবের সেভেন স্টার মৎস্য আড়তের মালিক আমির হোসেন বলেন, এখনতো শুধু নদীতে পানি আসছে। কিছুদিন পর পুরোপুরি দেশীয় মাছের আমদানি হবে। এখন কিছু পরিমাণ দেশীয় মাছ আড়তে আসছে কিন্তু সেসব মাছের দাম কিছুটা বেশি। যদি মাছের আমদানি বেশি থাকতো তাহলে আড়তে মাছের দাম কমতো।
মৎস্য আড়তের আলিফ এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী বাবু মিয়া বলেন, এ বছর হাওরে দেরিতে পানি আসায় নদ-নদীতে মাছ ধরা পড়েনি। যার ফলে আড়তে দেশীয় মাছের আমদানি কম।
মৎস্য ব্যবসায়ী অপু মিয়া বলেন, আড়তে নদীর মাছটা এখন কম। শুধু দেশি চিংড়ি, পাবদা, মাছ আসছে। অন্য মাছের আমদানি অনেক কম। পাশাপাশি পুকুরের চাষের মাছের আমদানি বেশি রয়েছে। এখন চাষের মাছ বাজারটা ধরে রেখেছে। সামনে সময় আছে দেশীয় মাছের আমদানি বাড়বে। মাস দুয়েক পর আশ্বিন-কার্তিক মাসের দিকে পুরোদমে দেশীয় প্রজাতির মিঠাপানির মাছের আমদানি বাড়বে।