মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছবোমা সরবরাহ করলে মস্কো একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু মঙ্গলবার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দিলে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীও পাল্টা হিসেবে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, বিষয়টি উল্লেখ করা উচিত যে রাশিয়ার কাছে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ক্লাস্টার বোমা রয়েছে। আর তা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।
পাশাপাশ রুশ সেনাদের এই ধরনের অস্ত্র (ক্লাস্টার বোমা) থেকে রক্ষার জন্য মস্কো ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান শোইগু।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ক্লাস্টার বোমা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ একটি অস্ত্র। যুক্তরাজ্য, জাপানসহ বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে এই বোমা নিষিদ্ধ।
যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ক্লাস্টার বোমার উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহার বন্ধে বিশ্বের ১২৩টি দেশ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সই করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়া এই চুক্তিতে সই করেনি।
কিয়েভকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার বিষয়ে এরই মধ্যে আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, রাশিয়ার কাছে ক্লাস্টার বোমা রয়েছে। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত তাদের সামরিক অভিযানে এই বোমা ব্যবহার করেনি।
তবে ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলায় ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে আগে অভিযুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছিল, ইউক্রেনে রুশ ক্লাস্টার বোমার ব্যর্থতার হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে ইউক্রেনের ভূমিতে অবিস্ফোরিত অনেক রুশ ক্লাস্টার বোমা রয়েছে।
ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইউক্রেনে যে ক্লাস্টার বোমা পাঠাচ্ছে, তার ব্যর্থতার হার ২ দশমিক ৩৫ শতাংশের কম। সূত্র: রয়টার্স