• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

৩০ কেজির পোপা মাছ বিক্রি হলো সাড়ে ৯ লাখ টাকায়

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

কক্সবাজারে ৩০ কেজি ওজনের একটি সামুদ্রিক কালো পোপা মাছ বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকায়।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ মাছটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেন বলে জনিয়েছেন কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন।

এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ অংশে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিবপাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় সৈয়দ আহমদের ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

শামলাপুর নৌ-ঘাট জেলে কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মাঝি জানান, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বাহারছরা নৌ-ঘাটে ৩০ কেজি ওজনের একটি কালো পোপা মাছ আনেন জেলেরা। এ সময় তারা দাম হাঁকান সাড়ে সাত লাখ টাকা। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় করেন।

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, শুক্রবার সকালে মাছ ধরার জন্য সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া থেকে পাঁচ মাঝি-মাল্লাসহ ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে রওনা দেন। এর মাঝে সাগরের ‘বারো বিয়ো’ পয়েন্টে গিয়ে জাল ফেললে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ একটি বড় কালো পোপা মাছ ধরা পড়ে।

ট্রলার মালিক সৈয়দ আহমদ বলেন, মাছটির দাম সাড়ে সাত লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। পরে চার লাখ টাকায় মাছটি কিনে নেন মো: ইউনুস নামের এক মাছ ব্যবসায়ী।

শাপলাপুরের বাসিন্দা মো: ইউনুস বলেন, শুক্রবার দুপুরে টেকনাফের সাবরাং বাহারছড়া ঘাটে একটি ৩০ কেজি ওজনের কালো পোপা মাছ চার লাখ টাকায় কিনেছি। পরে মাছটি কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে এনে ১২ লাখ টাকা দাম দিয়েছিলাম। কয়েক ব্যবসায়ী দর কষাকষি করে ৯ লাখ টাকার ওপর উঠছিল না। পরে মনো সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ীকে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছি।

পোপা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)।

মৎস্য বিজ্ঞানীরা জানান, পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়। উপাদেয় স্যুপও তৈরী হয় এ থেকে। তাই বিভিন্ন দেশে এ মাছের চাহিদা প্রচুর। বায়ুথলি বেশ মূল্যবান বলে পোপা মাছের দামও বেশি পাওয়া যায়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, কাল পোপা মাছ মূলত গভীর সমুদ্রে বিচরন করে। কিন্তু মাঝে মধ্যে এরা ঝাঁক বেঁধে সাগরের অগভীর এলাকায় মাইগ্রেট করে।

সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসূমে সাগরে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে মাছ শিকার সম্বন্ধে তিনি বলেন, মৎস্য অধিদফতরের অভিযান চলমান আছে। এর মধ্যেও গোপনে কিছু অসাধু জেলে মাছ শিকার করছে। অভিযান আরো জোরদার করা হবে বলেও জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ