জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় স্বামী হত্যার প্রায় ২২ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ডলি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (১৬ জুলাই) সকাল ৮টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-৫। শুক্রবার (১৪ জুলাই) ঢাকার আদাবর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পাঁচবিবি উপজেলার কুটুহারা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ডলি বেগম (৪২)।
নিহত ব্যক্তি পাঁচবিবি উপজেলার মঠপাড়া গ্রামের ফয়েজের ছেলে আবুল হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানান, আবুল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ডলির। বিয়ের পর থেকে আবুল হোসেন তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। সে সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। অন্যদিকে ডলি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তার এই সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রী ডলি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা শ্বাসরোধ করে আবুলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এদিকে ওই ঘটনার পরের দিন আবুলের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করেন। ২৬ জুন দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম চারজন আসামির যাবজ্জীবনের রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আবুল হোসেনের স্ত্রী ডলি বেগম, মৃত নিগমা উড়াওয়ের ছেলে সুরেন উড়াও, ধলু মণ্ডলের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফিরাজ উদ্দীনের ছেলে কাফা। তাদের মধ্যে ডলি পলাতক ছিলেন।
র্যাব-৫ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জানান, হত্যা মামলার পর থেকেই আসামি ডলি গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকেন।
তিনি আরও জানান, র্যাব-৪ (সিপিএসসি) ও র্যাব-৫ (সিপিসি-৩) এর যৌথ অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।