নেত্রকোনার মদনে বিদ্যালয়ের মালপত্র বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও এক সদস্যর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগটি দায়ের করা হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সদস্য ঝরনা আক্তার গত শনিবার (১৫ জুলাই) এ অভিযোগটি করেন।
লিখিত অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২২ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত বিদ্যালয় সরকারি ছুটি ছিল। সেই সুযোগে কোনো রকম রেজুলেশন ছাড়াই বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিলিং ফ্যান, বই, খাতা ও ঢেউ টিন বিক্রি করে দেন ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল হক স্বপন ও সদস্য জাকারিয়া চন্দন। এসব মালপত্র বিক্রির ৫০ হাজার টাকা তারা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। বিদ্যালয় খোলার পর বিষয়টি জানাজানি ১৫ জুলাই ওই বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সদস্য ঝরনা আক্তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় আমাকে না জানিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও একজন সদস্য মালপত্র বিক্রি করেছে। বিদ্যালয় খোলার পর বিষয়টি জানতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল হক স্বপন জানান, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেই বিদ্যালয়ের কিছু মালপত্র বিক্রি করা হয়েছে। এর কোনো রেজুলেশন করা হয়নি। তবে মালপত্র বিক্রির ২৫ হাজার টাকা এক শিক্ষকের নিকট জমা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী জানান, বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির করার অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য ইউএনও স্যার আমাকে নির্দেশ দিয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের মালপত্র বিক্রি করার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রমাণ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।