দিনাজপুরে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে প্রভাত চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. যাবিদ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় আসামি প্রভাত চন্দ্র রায় (৪০) উপস্থিত ছিলেন। তিনি দিনাজপুর সদর উপজেলার মাধবপুর চিরাকুঠি গ্রামের লালু চন্দ্র রায়ের ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রভাত চন্দ্রের সঙ্গে ২০০৯ সালে পারিবারিকভাবে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মোস্তফাবাদ এলাকার সুভাষ চন্দ্র রায়ের মেয়ে ববিতা রানী রায়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান জন্ম হয়।
২০১৪ সালে প্রভাত বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে তিনি ফিরে না আসায় ববিতা সন্তানদের নিয়ে মোস্তফাবাদ এলাকায় ভাই পরিতোষ রায়ের বাসায় আশ্রয় নেন। সেখানে অবস্থানের তিন মাস পর প্রভাত ফিরে এসে স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এতে বাধা দিলে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করেন। তাদের কলহের বিষয়টি পারিবারিকভাবে একাধিকবার মীমাংসাও হয়।
প্রভাতের নেশা করার মাত্রা আরও বেড়ে গেলে প্রায়ই বাড়িতে কলহ ও মারধরের ঘটনা ঘটতো। ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ববিতা কলহের জের ধরে বাবার বাসায় চলে যেতে চাইলে প্রভাত লোহার শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় ববিতা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ববিতার ভাই পরিতোষ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে সোমবার দুপুরে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রবিউল ইসলাম পরিচালনা করেন।