শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে ফুটবলার কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে সহযোগিতা, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি তৈরির আলাদা তিনটি অভিযোগে তিনজনের নামে মামলা দায়েরের পর ময়দান আলী (৬০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে মামলা দায়েরর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো- ধর্ষণে সহায়তাকারী ময়দান আলী (৬০), ধর্ষণে অভিযুক্ত মোনায়েম (২১) ও পর্নোগ্রাফি ভিডিও ধারণকারী অন্তর (২০)।
ভুক্তভোগী কিশোরী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ওই শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে ফুটবলার কিশোরী গত ৯ জুলাই বিদ্যালয় ছুটির পর বিকাল চারটার দিকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় স্কুলের অদূরে থাকা ময়দান আলী তাকে ডেকে নিজ ঘরে নিয়ে যায়। পরে একই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে মোনায়েম (২১) ওই কিশোরীকে ময়দান আলীর ঘরে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে মোনায়েম স্থানীয় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী অন্তরকে (২০) দিয়ে ওই কিশোরীর গোপনাঙ্গসহ শরীরের স্পর্শকারত অঙ্গের পর্ন ভিডিও ধারণ করায়। এরপর ওই পর্ন ভিডিও অন্তর তার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়।
পরে কিশোরীর স্বজনেরা বিষয়টি জানতে পেরে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলে ময়দান আলীসহ তার অনুসারীরা একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি ও হয়রানির মুখে রাখে।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী সহকারি পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেলের শরণাপন্ন হলে তার সহায়তায় রবিবার রাতে থানায় গিয়ে কিশোরীর নানী আয়শা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ময়দান আলীকে গ্রেপ্তার করে। তবে অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ওসি এমদাদুল হক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।