উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সকালে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৪ আগস্ট) লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে সকাল ৬টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে। তবে এরপর থেকে সকাল নয়টায় পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ, সিংঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউনিয়নের পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি চরে পানি প্রবেশ করেছে। আস্তে-আস্তে পানি বাড়ছে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাাবিত হয়েছে। এতে করে পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। ডুবে গেছে চলাচলের রাস্তা।
হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার লোকজনের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, সকাল ৬টায় থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় তা কমে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, পানিবৃদ্ধির বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে।