• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

নালা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ, দুর্ভোগে ১২ গ্রামের কৃষক

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের নালা বদ্ধ করে দেওয়ায় বিস্তীর্ণ জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ছবি–সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ঘোগাদহ ইউনিয়নে এক ব্যক্তির খামখেয়ালিতে প্রায় দুই হাজার একর জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিজ বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত একটি নালা বন্ধ করে দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেন মো. এরশাদুল হক নামের ওই ব্যক্তি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১২ গ্রামের প্রায় চার হাজার কৃষক। বৃষ্টির পানিতে কৃষকদের জমি জলাবদ্ধতার কবলে পড়ায় আমন ধানসহ বিভিন্ন সবজি আবাদ করতে পারছেন না তারা।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড়শো বছর ধরে একটি নালা দিয়ে ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাজলদহ পাড়, রসুলপুর, শান্তির ভিটা, জেলে পাড়া, নাপিত পাড়া, বাঁশ বাড়িসহ ১২টি গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা জমির অতিরিক্ত পানি নদীতে নিষ্কাশন হত। কয়েকমাস আগে আশপাশের গ্রামের পানি নিষ্কাশনের ওই নালাটি বন্ধ করে দেন এরশাদুল হক। এতে বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় ইউপি পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

গত মঙ্গল ও বুধবার সরেজমিনে কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের কাজলদহ পাড়, রসুলপুর, শান্তির ভিটা, জেলে পাড়া,নাপিত পাড়া,বাঁশ বাড়ি, ডুবা আছরি উত্তর পাড়া, ডুবা আছরি পশ্চিম পাড়া, সর্দার পাড়া, ঘোগাদহ ক্লিনিক পাড়া, দক্ষিণ চান্দের খামার প্রভৃতি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করে দেওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক জোবেদ আলী বলেন, স্থানীয় বিলে তাঁর ১৫ বিঘা জমি আছে। ২ মাস ধরে ওই জমিতে বৃষ্টির পানি আটকে আছে। ফলে তিনি জমিতে কোন ফসল আবাদ করতে পারছেন না।

আরেক ভুক্তভুগী রবিন চন্দ্র শীল বলেন, তিনি ১ বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলেন। জমি থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ধানের চারাগুলো পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো.এরশাদুল হক বলেন, নালার কারণে তাঁর বাড়ি ভাঙনের হুমকিতে ছিলো। এ কারণে তিনি নালাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। নতুন করে নালা খনন করতে বাড়ির পাশে নিজের জমি দিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক বলেন,এ বিষয়ে দুইদিন আগে একটি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। আপাতত পানি নিষ্কাশনের জন্য এরশাদুল হক তাঁর বাড়ির পাশে আরেকটি জায়গা দিয়েছেন। সেখানে অস্থায়ী নালা করা হচ্ছে। সেখান দিয়ে আপাতত পানি নামুক। এরপর সকলের সঙ্গে বসে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ইউওনএ মো. রাশেদুল হাসান বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ